দৌলতপুর প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়া দৌলতপুরের ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে কলেজের অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সভাপতি জনাব এ্যাডঃশরীফ উদ্দীন রিমন জানান যে ২০১৮ সালে অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ৪ জন ল্যাব সহকারী ও একজন পিয়ন নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান । এই পদগুলোতে আবার ২০১৯ -২০২০অর্থ বছরে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি পাই। কিন্তু অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান ২০১৮ সালের নিয়োগ পত্রের স্বাক্ষর জাল করে পরীক্ষা না নিয়ে অসৎ পথ অবলম্বন করে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা দিয়ে এদের তিন জনের বেতন বের করে এনেছেন। পরে এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিষয়টি সভাপতিকে জানায় তখন সভাপতি এই বিষয় টা তদন্তের জন্য অধ্যক্ষকে নিকট জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার কিছুদিন পরে এম পি ও সিটে মোঃ ইউনুছ, মোঃ আরিফুল ইসলাম ও মোঃ বখতিয়ার হোসেনের নাম আশে। এমপিও সিটে তাদের নাম দেখে সভাপতি অধ্যক্ষকে ফোন দিলে সে তখনো অস্বীকার করেন এবং সভাপতির সাথে কথা কাটা কাটি করেন । তাই অধ্যক্ষ নিজে বাচার জন্য দৌলতপুর নিউজ ২৪ সহ আরো বেশ কিছু নিউজ পোর্টালের কথিত সাংবাদিকদের টাকা বিনিময়ে মিথ্যা নিউজ প্রচার করে আমার মান খুন্ন করার অপচেষ্টা করেন বলে সভাপতি জানান। তিনি আরো বলেন এর আগেও অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান এমন ধরনের কর্মকান্ডে লিপ্তছিলেন। আরো জানা যায় অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় অনেক অবাঞ্চিত বিল ভাউচার দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। কলেজের এই সকল বিষয় দৌলতপুর – ১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সরোয়ার জাহান বাদশাহ মহোদয়কে জানানো হয়েছে বলে জানান সভাপতি এ্যাডঃ শরিফ উদ্দীন রিমন। অধ্যক্ষের এই আচরনের জন্য সভাপতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সভাপতির স্বাক্ষর জাল ও অর্থ আত্মসাতের জন্য আগামী রবিবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান সভাপতি এ্যাডঃ শরীফ উদ্দীন রিমন। আরো জানান সঠিক তথ্য না জেনে মিথ্যা নিউজ করার জন্য দৌলতপুর ২৪ এর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সুধিজন খোজ খবর নিতে গেলে দেখেন অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মান্নান এলাকা থেকে লাপাত্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সভাপতি ও এলাকার সুধিজনরা বিবৃত কর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।