ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ইবি থানার উজান গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বর্তমানে ফুটবল খেলোয়ারদের জন্য মরণ ফাদ হয়ে দাড়িয়েছে।১৯৬৪সালে এই উজান গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও২০০১ সালে উজান গ্রাম ৫৭ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯৭২সালে উজান গ্রাম আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্টিত হয়,আর এই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র,ছাত্রীদের খেলার জন্য একটা খেলার মাঠ প্রস্থুত করা হয়।কিন্তু বর্তমানে এই মাঠটি পরে আছে জরাজীর্ন অবস্থায়।উজান গ্রামের আশে পাশের ১০ টি গ্রামের এক মাত্র খেলার মাঠ এটি।একটু বৃষ্টি হলে খেলার মাঠ না,নদী বুঝতে পারে না খেলোয়ারা।চারিদিকে ইট খোয়া আর আর্বজনায় পরিপূর্ন ।নিজের মণ,শরীরকে সুস্থ রাখতে পড়াশোনার পাশা পাশি খেলা অত্যান্ত জররী।মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে খেলার বিকল্প নেই।আর এই মাঠে ফুটবল খেলতে এসে ২০১৯ সালে পায়ের হাড় ভেংগে পগু হয়েছেন উজান গ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামের মো:বাতাস ওরোফে শিমুল পিতা হোসেন আলী,পেশা ছাত্র।২০২০ সালের সুনামধন্য উজান গ্রাম উজালা ক্লাবের স্ট্রাইকার বাপ্পি (১৯) গর্তে পরে
বাম হাত ভেংগে যায়।০৯/০৮/২০২০ তারিখে সুনাম ধন্য উজান গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে ফুটবল খেলতে এসে কুষ্টিয়ার আলামপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের মো: আকাশ(১৮)পিতা উসমান মাস্টার বাম পাশের পায়ের ২ টি হার ভেংগে হাসপাতালের বেডে পড়ে আছেন।পেশা হিসেবে তিনি ছাত্র ছিলেন।সুনাম ধন্য উজান গ্রাম উজালা ক্লাবের সভাপতি হাসমতের সাথে এই খেলার মাঠের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন,অনেক সমস্যা আছে এই মাঠে, সামান্য কিছু বালি আর যত্নের অভাবে এমন দূর্ঘটনা ঘটছে প্রতি নিয়ত।তাছাড়া আমাদের উজালা ক্লাবে জমানো সেই রকম টাকা নাই।টাকা থাকলে আমি নিজেই বালি দিতাম খেলার মাঠে। খেলার মাঠের পূর্ব পাশের একটা পুকুর আছে অতি বর্ষনে মাটি ভেংগে পুকুরে চলে যায়।খেলার মাঠে বালি দিবে বলে অনেকেই আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত।উজান গ্রাম উজালা ক্লাবের বর্তমান ফূটবল দলের ক্যাপ্টেন হাসানের সাথে কথা বললে তিনিও বলেন, আমরা খেলোয়ার সহ ১০ টি গ্রামের ছেলেরা এখানে খেলতে আসে।আর মাঠের অবস্থা খারাপ হওয়াই অনেকে খেলা বাদ দিয়ে দিয়েছে। অনেকেই মাদকের দিকে ঝুকছে।তাই আমাদের উর্ধতন নেতা কর্মীদের কাছে আমাদের সকলের দাবি উজান গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটিতে বালি দিয়ে আমাদের একটি সুন্দর খেলার মাঠ উপহার দেওয়া হোক।