মহ
রাজশাহী,প্রতিনিধি মোঃ মিনারুল ইসলাম
চারঘাট,রাজশাহী
রাজশাহীতে দিন দিন কমে আসছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, এখনো ঝুঁকি কাটেনি। কাটেনি ভয়ও। এদিকে, করোনা আক্রান্ত কমে আসার সাথে সাথে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন মানুষ। ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছে নগরী। তবে কমে গেছে সচেতনতাও। বিষেশজ্ঞরা বলছেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও সচেতন থাকতে হবে। না হলে আবারও করোনা সংক্রমন বাড়বে।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীতে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সনাক্ত হয় ৩ হাজার ১০৬ জনের। বাকি ৯ উপজেলায় সনাক্ত হয় এক হাজার ৯৬ জন। রাজশাহীতে গত ১০ দিনে করোনা সনাক্ত হয় ৫৬৫ জনের। এর মধ্যে আগস্ট মাসের ১১ তারিখ সনাক্ত হয় ৫১ জন, ১২ তারিখ ৫৮জন, ১৩ তারিখ ৭৭ জন, ১৪ তারিখ ৮৭ জন, ১৫ তারিখ ৬১ জন, ১৬ তারিখ সনাক্ত হয় ৪৬ জন, ১৭ আগস্ট সনাক্ত হয় ৫০ জন, ১৮ আগস্ট হয় ৪৩ জন, ১৯ তারিখ সনাক্ত হয় ৩৬ জন, সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ২০ তারিখ সনাক্ত হয় ৫৬ জন।
করোনা সংক্রমনের এ সংখ্যা জুলাই মাসের তুলনায় কিছুটা কম। এদিকে, করোনার মাঝেই ফের কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরী। গত ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও ফাঁকা রাজশাহী কর্মব্যস্ততার রেশ গত সপ্তাহ পুরোটায় ছিল। ঈদের পর আবারও বর্মব্যস্ততা বেড়েছে নগরবাসীর। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে পথচারীদের সেই চিরচেনা হেঁটে চলা। চলছে অফিস, জমজমাট দোকানপাট, বাজারঘাট। অন্যদিকে, রাস্তায় অনবরত যানবাহনের ছুটে চলা। মাঝে সাজে যানজটও দেখা যাচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত বাস রয়েছে। তবে যাত্রীদের ভিড়ও বেড়েছে। কর্মের ক্ষেত্রে যে প্রভাব ফেলেছিলো করোনা সেটি কাটিয়ে এখন কর্মমুখর অফিস পাড়াও। এ মহামারিতে অনেকে কর্ম হারিয়ে গ্রামে গেছেন। নতুন কর্ম না পাওয়া পর্যন্ত কিংবা অনেকেই হয়তো আর নগরীতে ফিরবেন না। সেই প্রভাবটা যানবাহনসহ রাজশাহীতে সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই স্বাভাবিক হচ্ছে নগরজীবন। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ছোট-বড় মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক সময়ের মতো কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে মানুষ।
তবে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে উদাসীন। মুখে মাস্ক না ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ঢুকতে কিছুদিন আগেও তাপমাত্রা মেপে ও জীবাণুমুক্তকরণ কক্ষের মাধ্যমে প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বর্তমানে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেটের কাপড়ের দোকানদার মুস্তাক আলী বলেন, করোনায় আর কত বসে থাকবে মানুষ। এখন অনেকেই বাজারে আসছে। আমরাও বিক্রি করছি। তবে আগের মত সব মানা সম্ভব হচ্ছে না। শুরুতে যেমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতাম এখন সেটি আর রাখা হয় না।
আটো চালক মামুনের সাথে কথা হয় নগরীর সাহেব বাজারে তিনি বলেন, করোনা শুরতে আগে যাত্রী পেতাম না। এছাড়া অনেকেই ভর্তি অটোটে চড়তে চাইতো না। এখন এই সব আর মানে না। এছাড়া, অফিস খুলে গেছে। এজন্য যাত্রীও বেশি হচ্ছে।