নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড়ের আলামিন ফার্মেসির মালিক মনিরুল ইসলামের কাছে দীর্ঘদিন ধরে নগদ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী আবেদুর রহমান আন্নু। এই আন্নুর বাড়ি কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজের সামনের গলির মধ্যে অবস্থিত।
২৬শে আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী আন্নু মনিরুলের ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আন্নু তার মাজা থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে তাৎক্ষণিকভাবে মনিরুলকে উপর্যুপরি মাথায় ও বুকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই সময় মনিরুলের আত্মচিৎকারে আশপাশের জনগণ ছুটে আসলে তার ক্যাশ ড্রয়ারে ঔষধ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আন্নু চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত সকল জনগণের সম্মুখে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। ওই দিন রাতেই মনিরুল বাদী হয়ে আন্নূর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঐ সময় সাধারন জনগন ছুটে এসে মনিরুলকে দ্রুত কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, বর্তমানে সে এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে। তার মাথা ও বুকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি সেলাই লেগেছে। এ বিষয়ে মনিরুলের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি কারণ আমার দোকানটি আন্নুর বাড়ির পাশে অবস্থিত, সে যে কোন মুহূর্তে আমাকে আরো ক্ষতিসাধন করতে পারে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শ্যামার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আন্নূ একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী আমরা তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি, তিনি যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা মামলাযোগ্য, ইতিমধ্যে আন্নু বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে ফোন করছে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য। তবে আমরা যেটা জেনেছি এই আন্নু মনিরুলের ঔষধের দোকানে চাকুরী করতো। তাকে চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার কারণে তার প্রতি ক্ষোভ জন্মে গেছে, যে কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরুল এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নগদ অর্থ লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
মনিরুল ও তার পরিবার মাননীয় পুলিশ সুপারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ আন্নুর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা ও মামলা গ্রহণ করে গ্রেফতারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির অনুরোধ করেন।