কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে গত সোমবার বেলা আনুমানিক ০২.০০ টার সময় এক দুর্নীতিবাজ দলিল লেখকের কারচুপি হাতেনাতে ধরে ফেলার ঘটনা ঘেটেছে।
অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যায়ভাবে একপক্ষকে ঠকিয়ে দিয়ে চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে দলিল লেখক আনারুল টিপ সই করার জন্য অফিস সহায়ক নবান্নোর কাছ থেকে নকলা দলিল নিয়ে ক্রেতা-বিক্রতাদের সাক্ষর করার পর দলিলটি কিছু সময়ের জন্য বেআইনীভাবে আপত্তি সত্বেও তাতে টেম্পারিং করে ৫৩ ফুট লেখেন।
নবান্ন বিষয়টি ধরে ফেলে তাৎক্ষণিক অফিসের সবাইকে অবগত করেন।
সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ যুবায়ের হোসেন সিসিটিভি ফুটেজ ও ক্রেতা-বিক্রতা ও সাক্ষীদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদে দলিল লেখক আনারুলের সাথে ক্রেতা হাসিবুল হাসানের পরস্পর যোগসাজসে দাতার অলক্ষ্যে জমি হাতিয়ে নিতে ক্রেতাকে সহায়তা করছিল। যা বেআইনী।
বেআইনী কাজে জড়িত থাকা ও রেজিষ্ট্রি অফিসের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করায় আনারুলকে শোকজ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
সাব রেজিষ্ট্রার যুবায়ের হোসেন,
অফিস সহায়ক নবান্নের সাথে ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন। তাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, আনারুল একজন দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলিল লেখক সমিতির একাধিক নেতা বলেন, আনারুলের স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতারণামুলক কর্মকান্ডের ভুক্তভোগী অনেকেই রয়েছেন।
প্রতারণায় আনারুল এমন কারচুপির আশ্রয় নিয়ে থাকেন যা জানতে ভুক্তভোগীকে অনেক বছর সময় লেগে যায়। যখন কারচুপি ধরা পড়ে বা ফাঁস হয় তখন ভুক্তভোগীর হাত-পা যার বাধা তার নিরবে মার খাওয়া ছাড়া আর কি উপায় আছে, গোলাম হোসেন এর মত অবস্থা। ভেড়ামারা রেজিষ্ট্রি অফিসে আনারুলকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে আত্মগোপনে আছে। এই প্রতিবেদক তার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুক্ত হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেন। ডিড রাইটার অানারুল ডিড ভেঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নকলা দলিলে ও ম্যাপে ট্যাম্পারিং দুর্নীতির বিষয়টি বর্তমানে বিস্তর আলোচনায় রয়েছে।