কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার ওহিদুল ইসলাম ঝন্টুর বিরুদ্ধে জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নুরুল ইসলামের অভিযোগ ও জমির বায়নানামার সূত্র সূত্র ধরে জানা গেছে গত ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল তারিখে কুষ্টিয়া শহরের শহীদ ইয়াকুব আলী সড়কের আড়ুয়াপাড়ার মৃত খয়বার মন্ডলের ছেলে ওহিদুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু ও তার মাতা সাহিদা খাতুন তাদের সংসারে নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ০.০২৪৭৫০ একর জমি বিক্রয়ের ঘোষণা দিলে কুষ্টিয়া বাহাদুর আলী বিশ্বাস প্রথম লেন আড়ুয়াপাড়ার মৃত সবির শেখের ছেলে নুরুল ইসলাম ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে উক্ত তারিখে কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সাক্ষী গনের সম্মুখে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে জমিটি বায়নানামা করেন।
বায়নাকৃত জমি কুষ্টিয়ার অধীনে আর এস ২১নং কালিশংকরপুর মৌজায় আর এস ৫৬৭৩ নং দাগের ০.০২৪৭৫০ একর জমি।
উক্ত এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে আলেক আলী ও মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরকে সাক্ষী করে রেজিস্ট্রি অফিসের তরিকুল ইসলাম যার লাইসেন্স নম্বর ৯৭। জমি বায়না সময় সনাক্তকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উক্ত এলাকার কমিশনার মোঃ সাবাউদ্দিন সওদাগর। শহিদুল ইসলাম ঝন্টু ২০১৩ সালে জমির বায়না কৃত ২ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি ঢাকায় চলে যায়। দীর্ঘ দুই বছর পর কুষ্টিয়াতে ফিরে এসে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছে। ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামকে বায়নাকৃত অর্থ ফেরত দিচ্ছে না অন্যদিকে জমি রেজিস্ট্রি করেও দিচ্ছে না, আজ দিব কাল দিব করে ১৩ টি বছর ঘোরাচ্ছেন বলে নুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে কমিশনার সাবাউদ্দিন সওদাগরের সঙ্গে কথা বললে, তিনি বলেন বিষয়টি সত্য, ঝন্টু একজন বড় মাপের চিটার সে আমাকে শো করে নুরুল ইসলামের কাছে জমি বিক্রির নাম করে বায়না বাবদ নগদ ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে ১৩ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে আপনারা একটু সহযোগিতা করলে ওই চিটার ঝন্টুর নিকট থেকে জমি অথবা গ্রহণকৃত নগদ দুই লক্ষ টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করছি।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করে বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ সেইসাথে মিস্ত্রির কাজ করি, মেয়াদপূর্তির আগে আমার ডিপিএস ভাঙিয়ে ২০১৩ সালে জমিটি বায়না করি। কিন্তু ওই জমি বিক্রেতা ঝন্টু দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আমাকে ঘোরাচ্ছেন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না, জমিও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না, আমি ওই প্রতারক ঝন্টুর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।