কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ. ক. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ তার ফুপাতো ভাই হাসিনুর রহমান হত্যাকান্ড সুক্ষ পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে। আর এ হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ইন্ধনদাতা। দীর্ঘ একমাস ধরে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং হত্যাকারী মজিবর রহমান এ নিয়ে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর ঘোষপাড়া মোড়ে একাধিকবার আলোচনাও করেছে।
১ সপ্টেম্বের মঙ্গলবার হত্যাকান্ডস্থল ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এসব কথা জানাগেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামপুর ঘোষপাড়া মোড়ের কয়েকজন দোকানদার বলেন, মজিবর রহমান প্রায় বলতেন তার হাসুয়া ধার দিয়ে রাখার কথা। তবে কার জন্য বা কি কাজের জন্য হাসুয়া ধার দিয়ে রাখতো মজিবর সে কথা কখনও বলেনি। শনিবার হাসিনুর রহমানকে নির্মমভাবে খুন করার পর জানা গেলো কি জন্য মজিবর হাসুয়া ধার দিয়ে রাখতো।
হাসিনুর রহমান হত্যাকান্ডের বিষয়ে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ. ক. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন, এটা একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা। সুপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। পেছন থেকে শক্তি যুগিয়ে পরিকল্ডপনা করে সুপরিকল্পিতভাবে নৃশংস এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। মজিবর প্রকাশ্য দিবালোকে জনসন্মুখে হত্যাকান্ড ঘটালো আর সেখানকার লোকজন তা দেখলো, কেউ হত্যাকারীকে বাঁধা দিতে এগিয়ে আসলো না এটাও ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার অংশ। আর যারা মজিবরের ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়ার কথা বলে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে, তা ঠিক নয়। কারন মজিবরের ছেলের হত্যার ঘটনায় সে সময় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা জামিনে রয়েছে। বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখানে ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়ার কোন বিষয় না। গভীর ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে ভাবে মজিবরকে দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
হত্যান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত সরকার জানান, হাসিনুর রহমান হত্যার ঘটনায় আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে মজিবর রহমান ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জনকে আসামী করে হত্যা মামালা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক মজিবর রহমান রবিবার ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ির পার্শ্ববতী ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর ঘোষপাড়া মোড়ে পদ্মা নদীর ধারে হাসিনুর রহমান মাছ ক্রয় করতে গেলে মজিবর রহমান পেছন দিক থেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাসিনুর রহমানকে ধারাল হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপায়।
এসময় হাসিনুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ইসলাম ঘোষপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ঘাতক মজিবর রহমানকে আটক করে। সে ইসলামপুর ঘোষপাড়া এলাকার মৃত মতালি মিস্ত্রির ছেলে।