নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ার মিরপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক স্বামী তার স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া (কদমতলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মোছাঃ রুবিয়া খাতুন বাদী হয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁর স্বামী মোঃ মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গৃহবধূ মোছাঃ রুবিয়া খাতুনের ভাই দাবি করেন, ২৪ বছর আগে তাঁর বোনের সঙ্গে তালবাড়ীয়া গ্রামের মৃতঃ সলেমানের ছেলে মোঃ মতিয়ার রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে যৌতুক হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা এবং কিছু সোনার গয়না দেওয়া হয়।ও গয়না বিক্রি করে দেয়। এরপর তিনি আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় গত শনিবার তিনি রুবিয়ার হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। একপর্যায়ে মতিয়ার রুবিয়ার দেহের বিভিন্ন অংশ কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে এবং তাঁকে ঘরে আটকে রাখে। দুই দিন পর প্রতিবেশী কয়েকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে রুবিয়ার ভাই যেয়ে রুবিয়াকে উদ্ধার করে গত রবিবারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুবিয়া খাতুন পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেন, বিয়ের পরেই থেকে মতিয়ার আমার উপর নির্যাতন করতে থাকে। তখন থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজন রুবিয়াকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। টিকতে না পেরে বাধ্য হয়ে রুবিয়া তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছুদিন আগে মতিয়ারের এলাকার কিছু লোকের সহায়তায় রুবিয়াকে বাবার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতে যান। এ সময় রুবিয়া তাঁর ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও খোঁজখবর না রাখার অভিযোগে স্বামীর বাড়িতে ফিরতে চাননি। একপর্যায়ে সবার অনুরোধে তিনি স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। স্বামীর বাড়িতে ফেরার পরই রুবিয়ার ওপর নতুন করে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। রুবিয়া পরিবারের দাবী যৌতুক লোভী মতিয়ারের বিচার চাই