সোহেল রানা যশোর প্রতিনিধিঃযশোরে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখে’র এই প্রথম বারের মত মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়নি।শনিবার ( ৫ই সেপ্টেম্বর) তার ৪৯তম মৃত্যু বার্ষিকী ছিলো।
তবে গতকাল শুক্রবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে গোলাম মোস্তফা ও মেয়ে মোছা হাসিনা হকসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সমাধিস্থলে এসে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল, মেয়ে মোছা হাসিনা হক, নাতি ছেলে পিয়াল হাসান,মোস্তফার ছেলে সায়মন হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন,শাড়াতলা সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হাসানুজ্জামান লাল, গোলাম মোস্তফা, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কওমি মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা শাহজাহান কবির, জান্নাতা খানম কওমি মহিলা মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা কামাল হোসাইন, মাওলানা ইউনুছ,শিক্ষক আশাদুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাশিপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুল্লাহ সাহেব। দোয়া অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখসহ সকল মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এদিকে দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখে’র মৃত্যু বার্ষিকী পালিত না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন,এই প্রথম বারের মত নীজ চোখে দেখলাম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখে’র ৫ই সেপ্টেম্বর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেনি।এই জন্য কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম,এনে দিয়েছিলাম লাল সবুজের পতাকা?
১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ।পরে নিরাপদ মনে করে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জিন্নাতুন্নেছা।
এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানি সদর ক্যাম্পের সুবেদার ইউনুস আলীর কাছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখে’র সমাধিস্থলে কোন অনুষ্ঠান হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,জ্বী না কোন অনুষ্ঠান হয়নি।তবে ওনার নীজ বাড়ী নড়াইল মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল ওনার পরিবারের সদস্যরা আসছিলো।কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আজকে কোন অনুষ্ঠান হয়নি।