সোহেল রানা,যশোর প্রতিনিধিঃ“ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরের শার্শার নাভারণে পথ শিশু ও ভারসাম্যহীন পাগলসহ ক্ষুধার্থ মানুষের দু’বেলা দুমুঠো খাবার খাওয়ানো এবং মানব সেবার ব্রত নিয়ে ফ্রী খাবার বাড়ীর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাভারণ সার্কেল শার্শা, যশোরের (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) জনাব জুয়েল ইমরান।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় নাভারণ গার্লস স্কুল সংলগ্ন বাদল নার্সারীর ফুলের উদ্যানে এই খাবার বাড়ির শুভ উদ্বোধন করা হয়। বাদল নার্সারীর প্রোপাইটর বাদল হোসেনের পরিচালনায় এই ফ্রি খাবার বাড়িটি পরিচালনা করা হবে।

প্রধান অতিথি জনাব জুয়েল ইমরান বলেন,পথ শিশুদের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম থাকলেও দেশের কোথাও পাগলদের জন্য এমন খাবারের হোটেল আছে বলে আমার জানা নাই। এটা অসাধারণ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।এই হোটেলের দীর্ঘ মেয়াদী পরিচালনার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।

উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, করোনা ভাইরাস সবাইকে কি শিক্ষা দিয়েছে আমার জানা নাই, তবে এই করোনা আমাকে অনেক ভাল কিছু দিয়ে গেছে। করোনাকালে অনাহারে থাকা পথ শিশু ও রাস্তার ভারসাম্যহীন পাগলদের জন্য খাবার খাওয়াতে খাওয়াতে এদের জন্য খাবারের এই হোটেলটি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি।

মানবসেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং হাজার হাজার মানুষের অনুপ্রেরণায় আজ এই খাবার বাড়িটির বাস্তবে রুপ দিয়েছি।যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন অনাহারির পাশে থেকে এইভাবে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো।দেশে এই প্রথম পথ শিশু ও পাগলদের জন্য ফ্রি খাবার বাড়ি উদ্বোধন হলো।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নাভারণ ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক এবং শার্শা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, বিজয় টিভির বেনাপোল প্রতিনিধি সেলিম রেজা, চ্যানেল এস টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন, কালের কন্ঠের ঝিকরগাছা প্রতিনিধি এম আর মাসুদ, প্রভাষক মিজানুর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গদখালী ইউনিয়ন শাখা, ঝিকরগাছা, যশোরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি জনাব জুয়েল ইমরান পথ শিশু ও ভারসাম্যহীন পাগলদের মাঝে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন এবং ইয়াতিম শিশুদের মাঝে কোরআন শরীফ, মাক্স ও সাবান বিতরণ করেন।