নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ গতকাল বিকেল চারটার দিকে দৌলতপুরে উইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড নামকরণ একটি তারকাটা ফ্যাক্টরিতে তাজিমুল (১৮)নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাজিমুল মিরপুর আটিগ্রাম আসাদুল ইসলাম এর ছেলে। সে ওই ফ্যাক্টরিতে ড্রয়িং সেকশনে কাজ করতো বলে জানা যায়। ড্রয়িং এ মেশিন কাজ করার সময় মেশিন এর পাইপ ছিটকে তাজিমুল এর মাথায় লাগলে মর্মান্তিকভাবে আহত হয়। এমন অবস্থায় তাকে মিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কোন প্রকার শ্রমিকদের নিরাপত্তা না রাখার কারণেই ওই ফ্যাক্টরিতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় সাধারণ শ্রমিকদের তারি মাশুল দিতে হলো আজ তাজিমুল কে। এই মৃত্যু নিয়ে ওই এলাকাতে চলছে নানা রকম গুঞ্জন এলাকাবাসী মনে করছে মালিকপক্ষের উদাসীনতার কারণেই ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। আবার কেউ কেউ বলছে ফ্যাক্টরির ভিতরে কোন প্রকার নিরাপত্তা ছাড়াই শ্রমিকদের কাজ করানো হয় যার কারণেই মাঝেমধ্যেই ঘটে এ ধরনের ঘটনা। এই প্রতিষ্ঠানটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও প্রতিনিয়ত উজার করা হচ্ছে জ্বালানি হিসেবে হাজার হাজার গাছ। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণরূপে বেআইনিভাবে আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠায় এলাকার লোকজন বিপাকে প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে উৎপাদিত ধোয়াতে প্রতি নিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকার লোকজন। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কোন প্রকার তথ্য না দিয়েই প্রতিষ্ঠানটির মূল দরোজা তালা লাগিয়ে রাখে। পরবর্তীতে মুঠোফোনে ওই ফ্যাক্টরির দায?িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার হসানের সাথে কথা বলে জানা যায় ফ্যাক্টরির ভিতরে কাজের সময় দুর্ঘটনাজনিত কারণেই তাজিমুল এর মৃত্যু হয় এ মৃত্যুতে কোন অবস্থাতেই কোম্পানি দায়বদ্ধ নয়। দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে ফ্যাক্টরির পাশেই অবস্থিত পিপল বাড়িয়ার ক্যাম্প ইনচার্জ এ এস আই বাবর আলী এর সাথে কথা বলে জানা যায় ওই ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনাজনিত কারণে একজন শ্রমিক মারা গিয়েছে তার কিছুই জানেন না সে। তিনি এও বলেন প্রতিষ্ঠানটিতে যেকোনো সমস্যা হলে ইতিপূর্বে আমাকে সাথে সাথে জানাত কিন্তু আজকে কেন জানালো না বুঝে উঠতে পারছিনা। তবে পরিবার যদি অভিযোগ করে আমরা তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।