নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার খাজানগরের দাদা রাইচ মিলের অংশীদারদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটর আরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে দাদা রাইচ মিলের আরেক প্রোপাইটর আব্দুস সালাম প্রধানের পক্ষে আনোয়ার হোসেন থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। যাহার নং-১৬৫। এখানে তিনি উল্লেখ করেন, আমি মেসার্স দাদা রাইচ মিলের প্রোপাইটর আব্দুস সালামের বড় ছেলে। দাদা রাইচ মিলের বর্তমান প্রোপাইটর আব্দুস সালাম প্রধান, খোরশেদ আলম, মো: আরশাদ আলী ও মো: শাহ জালাল পিতা: মৃত: মো: হযরত আলী প্রধান। আমরা দীর্ঘ ২২ বছর যাবত সুনামের সহিত দাদা রাইস ব্যান্ডে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। গত ৩ বছর যাবত আমরা ব্যবসা পৃথক করে পারিবারিক আপোষ নামার মাধ্যমে এল্কাা ভাগ করে ব্যবসা করে আসছি। এরইমধ্যে ব্যান্ড নিয়ে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে হাই কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও আরো উল্লেখ রয়েছে, প্রোপাইটর আরশাদ ্আলী তাদের ব্যবসায়িক কাজে বাঁধা সহ ব্যবসা বন্ধ না করলে খুন জখম করিয়া ফেলিবে। এমনকি আমাদের ব্যবসাকে অবৈধ প্রমান করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দাদা রাইচ মিলের প্রোপাইটর আব্দুস সালাম প্রধানের পুত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, দাদা রাইচ মিলের প্রোপাইটর চার জন হলেও প্রতারনার মাধ্যমে আরশাদ আলী একক মালিকানা দাবী করছে। এ বিষয়ে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রনালয় ঢাকা বরাবর অভিযোগ করা হলে, তারা তথ্য-উপাথ্য বিবেচনার মাধ্যমে একটি রায় প্রদান করে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কারো আপত্তি না থাকলে একক মালিকানা সনদ প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের আপিত্ত থাকা সত্ত্বেও আরশাদ আলী দাদা রাইচ মিলের একক মালিকানা দাবী করছে। যা প্রতারনার সামিল। এ বিষয়ে দাদা রাইচ মিলের প্রোপাইটর আব্দুস সালাম প্রধান জানায়, দাদা রাইচ মিলের মালিক আমরা চার জন। কিন্তু আমার ভাই আরশাদ আলী প্রতারনার মাধ্যমে নিজেকে একক মালিক দাবী করছে। যা আদৌও সত্য নয়। এমনকি আমাদের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ ঘটনায় হাটকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে দাদা রাইচ মিলের প্রোপাইটর আরশাদ আলী জানায়, দাদা রাইচ মিলের একক স্বত্বাধিকারী আমি। ওনারা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এছাড়াও পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রনালয়ের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, কারো আপত্তি না থাকলে একক মালিকানা দেওয়া হবে। এই কথাটি রায়ের একটি ভাষাগত বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।