এম,এবি ছিদ্দিক , নোয়াখলী প্রতিনিধি :
দক্ষিন আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্বদের গুলিতে নিহত সোনাইমুড়ীর শিমুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের (৩৩) লাশ দাফন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধায় সাতটায় গ্রামের বাড়ী পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের এসে। রাত নয়টায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জাহাঙ্গীরের কফিন বন্দি লাশ দাফন করা হয়। এসময় স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাস ভারি হয়ে উঠে। এর আগে শনিবার বেলা এক টায় বিমান যোগে তার লাশ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতীক বিমান বন্দরে এসে পৌছলে তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন লাশ গ্রহন করে। জাহাঙ্গীরের হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত ভাড়াটিয়া খুঁনি দ্বারা সংগঠিত দাবী করেছে তার পরিবার।
নিহতের বড়ভাই আলমগীর হোসেন জানায়, আমার বোন জামাই পৌরসভার রামপুর গ্রামের রাফায়েত উল্যার ছেলে জাকির হোসেনের (৪৪) সাথে ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের ব্যবসায়ীক বিরোধ চলে আসছিলো। তারা দুজন একই স্থানে থাকতো। জাহাঙ্গীর গত ১২ বছর আগে জাকিরের মাধ্যমে দক্ষিন আফ্রিকায় গিয়ে দোকানে কাজ করতো। তার দুই বছর পরে আলাদা ব্যবসা শুরু করে। জকিরের মালিকানাধীন দুইটি দোকন থাকলেও ১০ বছরের জাহাঙ্গীর মোট ছয়টি দোকান গড়ে তোলে। একই স্থানে উভয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকার ফলে দন্দ চরম আকার ধারন করে। চলতী বছরের প্রথম দিকে জাকির বাংলাদেশে আসে। মার্চ মাসে লকডাইন শুরু হলে সে আটকা পড়ে। এর মধ্যে সে আমার বোন রজিনাকে (৩০) শারিরীক ভাবে মারধর করতে থাকে। সে প্রথমে ১২ লাখ পরে ৪৫ লাখ টাকা দাবী করে আমার বোনকে মারধর করতে থাকে। রোজিনা মোবাইল ফোনে এসব কথা জানালে আমরা পুলিশের সাহায্যে তাকে উদ্ধারি। এঘটনায় রোজিনা নারী ও শিশু নির্যানত আইনে জাকিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ জাকিরকে আটক করে আদালতে চালান দেয়। এঘটনার পর থেকে সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। জাকির আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জাহাঙ্গীরকে ভাড়িটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। সে দীর্ঘ দিন দক্ষিন আফ্রিকায় থাকার সুবাদে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ অপরাধী চক্রের সাথে সক্ষতা রয়েছে। সে বাংলাদেশে অবস্থান করে খুঁনিদের সাথে আর্থিক লেনদেন করে তার পথের কাটা পরিস্কার করতে এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।
আমরা বাংলাদেশ সরকারের নিকট বিনিত ভাবে এই হত্যা কান্ডের বিচার দাবী করছি।
উল্লেখ্য গত সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে চারটায় দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নিউ ক্যাসেল শহরের ওসোজানী বক্স সেন্টারের সামনে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তরা নিজ দোকানের সামনে সোনাইমুড়ী পৌরসভার শিমুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মৌলভী বাড়ীর আতিক উল্যার মাস্টারের ছেলে জাহাঙ্গীরকে গুলি করে হত্যা করে।