নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার কুমারগাড়া গ্রামের পল্টন মোড়ের শহিদুল ড্রাইভারের স্ত্রী মোছা রেহেনা বেগম( ৪০) অভিনব কায়দায় তার দুই মেয়ে শরিফা( ২৮) ও আরিফা (২৪) কে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিবাহ ব্যবসা। যাহার প্রতারনার শিকার হচ্ছে বেশকিছু পরিবার। এই রেহেনা বেগম ও তা দুই মেয়ে সহ নাম মাত্র স্বামী শহিদুল ড্রাইভারের অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। সরজমিনে গিয়ে জানাযায় ঐ রেহেনা বেগমের প্রতারনার কাহিনী। উঠে আসে বড় ও ছোট মেয়ের বিবাহর নামে ব্যবসার কথা। এমনি ভুক্তভোগী ছোট মেয়ে আরিফার ১ম জামাই মোঃ রফিক( ৩০) পিতা জামাল উদ্দিন সাং আলমডাঙ্গা,মুন্সি গন্জ জানান আমার সাথে ছোট মেয়ে আরিফা ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে পরে আমাকে তার বাসায় দেখা করতে বলে পরে আমি মেয়ের সাথে দেখা করতে গেলে মেয়ের সৎ বাবা শহিদুল ড্রাইভার ও মা রেহেনা বেগম আমাকে তার মেয়ের সাথে কারাপ সম্পর্কের কথা বলে বিয়ে করতে বাধ্য করে এবং নব্বই হাজার টাকা দেনমোহর করে। বিয়ের কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে শশুর ব্যবসার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা ধার নেই কয়েক দিন পরে ফেরত দিয়ে দেবে বলে। পরে টাকা টা ফেরত চাইলে দেনমোহরের নব্বই হাজার টাকা পরিশোধ বলে আমাদের তালাক করিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় মেয়ের কাছে না আসার জন্য ও এ বেপারে বাড়াবাড়ি না করার জন্য।
ভুক্ত ভুগি ২য় জামাই জামিরুল (৩২) পিতা মোঃ খোকন সাং গোলাপ নগর ভেড়ামারার কাছ থেকেও একই কায়দায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেই।
৩য় স্বামী মোঃ রাজিব( ২৭) পিতা সাইদুল সাং খাজানগর,কুষ্টিয়ার কাছ থেকে আশি হাজার টাকা হাতিয়ে নেই বলে জানা যায়। ৪ নং স্বামী মোঃ শাহিন( ২৭) পিতা আব্দুল ওহাব সাং কুমারগাড়া জানায় তার কাছ থেকে মুরগীর ব্যবসার নাম করে ষাট হাজার টাকা ও স্বর্ন অলংকার হাতিয়ে নেই।
আবার অপর দিকে বড় মেয়ে দিয়ে আসিফ( ৩০) নব্বই হাজার ও আসাদ (৩২) সাং মুন্সি গন্জ তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ও বর্তমান স্বামী খাইরুল( ৩২) কে নিয়ে চলছে একই কাহিনী।
পরে সাংবাদিকেরা শাশুড়ী রেহেনা বেগমের সাথে বাড়িতে দেখা করতে চাইলে পরিবারের কেউ দেখা করেনি পরে রেহেনা বেগমের মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জামাই দের সবার চরিত্র খারাপ তাই মেয়েদের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের কাছ থেকে ছারিয়ে নিয়েছি। রেহেনা বেগম আরও বলেন আমার নামে নিউজ করে কোন লাভ নাই। তিনি স্হানীয় কিছু প্রভাবশালি নেতাদের আত্নীয় পরিচয় দেন। পরবর্তীতে জানাযায় নেতাদের আত্নীয় তো দুরের কথা এই মিথ্যা বাদি মহিলার নাম পর্ষন্ত তারা কখনো শোনেনি। জানাযায় এই রেহেনা বেগম নিজেও একজন পতিতা। মানুষের সাথে প্রতারনা ও পতিতা বৃত্তি তার মুল পেশা। এই মর্মে ৪ নং জামাই শাহিন বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সাথে এলাকার কাউন্সিলর মোঃ এজাজুল হাকিম সহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয় টি অবগত করেও কোন সুরাহা হয়নি। অবশেষে প্রতারিত পরিবার গুলো বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।