কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহিষকুন্ডি এলাকায় মাদকের গডফাদার ও ১ নং এজাহারভুক্ত আসামী রুবেল হালসানা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার নিজ এলাকায় বীরদর্পে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ দৌলতপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সুশীল সমাজ।
উল্লেখ্য, যে আব্দুল আলিম তাদের মাদক ব্যাবসায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে গত ২৩/১০/২০২০ শুক্রবার বিকেলে প্রকাশ্য মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী রুবেল হালসানা, হৃদয় হালসানা, সুকচাদ হালসানা, লালচাঁদ হালসানা, সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিন জন ব্যক্তি হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আলিম এর উপর হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল আলীমের বুকের হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে আব্দুল আলিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে গত ২৪শে অক্টোবর আব্দুল আলীমের মা মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নাম্বার – ৫৯)।
মামলার ঘটনায় পুলিশ ৪নং আসামি লাল চাঁদকে আটক করলেও প্রধান তিন আসামি রুবেল, সুকচাঁদ, হৃদয় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে এলাকাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগির পরিবার।
এ বিষয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রুবেল ও সুকচাদ এর সাথে সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার মহিষকুন্ডি বাজারে কথা হলে রুবেল স্বীকার করেন যে, আলিমকে মারধর করা হয়েছে। উক্ত এলাকার প্রায় ২৫ জন ব্যক্তির সাথে মাদক সম্রাট রুবেলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা এটাও বলেন রুবেলের অন্য কোন ব্যবসা নাই, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ই তার মূল্য ব্যবসা। রুবেলের অর্থে উক্ত এলাকার প্রায় ৫০ জনের অধিক ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে এসকল আসামীকে বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে স্থাণীয় মাদক সম্রাটেরা। এমনকি মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করছে তারা। আর সব কিছুর পেছনে রয়েছে স্থাণীয় এক মাদকের সেল্টারদাতা ও নিয়ন্ত্রণ কারিদের কথিত বড়ভাই। যার নিয়ন্ত্রণেই চলে দৌলতপুর সীমান্তের মাদক ব্যবসা। তবে এটাও জানা গেছে, ঐসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কথিত বড় ভাই বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করার জন্য মাসোহারা আদায় করে যাচ্ছেন, যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
এ বিষয়ে, আহতের আত্বীয়-স্বজন জানায়, মামলা তুলে নিতে আসামীরা ও স্থাণীয় কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানায়, পুলিশ একজন আসামীকে আটক করলেও প্রধান তিন আসামী এখনো প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আহত আলীমের পরিবার আজ শুক্রবার সকালে আসামি কর্তৃক শ্লীলতাহানীর বিষয়ে প্রতিবেদককে
মুঠোফোনে একটি তথ্য জানিয়েছেন যার সত্যতা প্রমাণ পূর্বক পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।