বিষেশ প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ষড়যন্ত্রমমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী। রবিবার বেলা ১১ টায় সোনাইমুড়ী উপজেলার বৃহত্তম সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আ’লীগ সভাপতি এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করি।এছাড়াও ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮৫০ জন উপকারভোগীর তালিকা অনুযায়ী চাউল উত্তোলন করা হলেও পায় মাত্র ৪০০ জন। বাকী ৪৫০ জনের চাউল ৪ বছর যাবৎ আত্তসাৎ হয়ে আসছে। এই বিষয়ে আমি দুর্নীতিদমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এবং সাংবাদিকগন অনুসন্ধান করে সত্যতা পেয়ে ইতমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাউল আÍসাতের বিষয়টি তদন্তদের জন্য পরিসংখ্যান কর্মকতাকে দায়িত্ব দিলে তিনি তদন্তে আÍসাতের সত্যতা পাওয়ায় সকল কার্ড বাতিল করে পুনরায় প্রকৃত উপকারভোগীর তালিকা করে নতুন করে কার্ড ইস্যু করেন। এ বিষয়টি দুদক কর্মকর্তা জেলা কার্যালয়ের নোয়াখালীর উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পান। এরই জের ধরে কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় রুপসা বেগম নামীয় জনৈক মাদক ব্যবসায়ী মহিলাকে দিয়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যাহা ইতোমধ্য ইউনিয়ন বাসী ও থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। ঐ মামলায় ১নং সাখকি রুপসা বেগমের আপন মামাতো ভাই বজরা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে জীবন হোসেন বিগত ২৬ মে ২০১৯ তারিখে চট্রগ্রাম কর্ণফুলী থানায় ১০০০ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার হয়। (সিএমপি- কর্ণফুলী থানার মামলার নং৪৭ তারিখ২৬-০৫-২০১৯)। সমপ্রতি উক্ত জীবন হোসেন মহামান্য হাইকোট থেকে জামিন লাভ করে। গত ২১-১০-২০২০ তারিখে লোকজন নিয়ে জীবন হোসেন রুপসা বেগমের নেতৃৃত্বে তার শশুরালয় হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুরসহ স্ত্রী সীমা আক্তার ও অন্যান্যদের মারপিট করে গুর“তর জখম করে। উভয় প¶ের মধ্য সৃষ্ট ঘটনার বিষয়টি আমি মামলা হওয়ার পর শুনেছি। এ ঘটনায় আমি কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই। অথচ ঐ ঘটনায় আমাকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। রুপসা বেগম কখনোই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। একটি কচুক্রি মহলের মদদে সে নিজেকে আ’লীগ কর্মী দাবী করে অাসছে।, এবং মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনে সংশিষ্ট থানা প্রশাসনসহ সকল সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।