কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে সরকারি জায়গা ও কালী নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ পাকা দোকান ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার বিকেলে কাজ বন্ধ করা হয়।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, কালীতে অবৈধ স্থাপনাদি নির্মাণ করছে খবর পেয়ে দ্রুত ইউপি ভূমি অফিসারকে পাঠানো হয়। খবরের সত্যতা পাওয়া কাজ বন্ধ করে দিয়ে আগামীকাল অফিসে ডাকা হয়েছে এবং স্থাপনাদি অপসারণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের দবির মোল্লার গেট কুষ্টিয়া টু রাজবাড়ী আঞ্চলিক রোডের কালিগঙ্গা নদী সংলগ্ন রাস্তার উত্তর-পশ্চিমে পার্শের পরিত্যাক্ত সরকারি জায়গা ও কালী নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাতের আঁধারে দুইটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। ছেঁউড়িয়া মোল্লাপাড়ার মৃত হাতেম শেখের ছেলে ভূমিদস্যু মাসুদ রানা সলক।
ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহকালে স্থানীয়রা জানায়, জায়গাটি সরকারি কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে টিন সেটের একটি দোকান এই জায়গায় রাখা হয়। সেটি আবার ভাড়াও দেয় ভূমিদস্যু মাসুদ রানা সলক দীর্ঘদিন ভাড়া খেয়ে হঠাৎ করে। ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে দুইটি দোকান ঘর নির্মাণ করতেছে। এই সরকারি জায়গা ও কালি নদীর জায়গার উপর দোকান ঘর নির্মাণ করা অবস্থায়। ভূমিদস্যু মাসুদ রানা সলক এক লক্ষ ২০ হাজার টাকায় পজিশন বিক্রয়ও করেছেন একই এলাকার মৃত মজিবারের ছেলে আরিফুলের কাছে।
শুধু এটা করেই থেমে নেই ভূমিদস্যু মাসুদ রানা সলক। তিনি তার নির্মাণাধীন ভবনের পাশেই আরেকটি সরকারি জায়গা ও কালি নদীর জায়গা দখল করে। সেই জায়গাটি চড়া দামে বিক্রি করেছেন। এটা তার নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, বেদখল হওয়া সরকারি এ সম্পত্তিগুলো দ্রুত দখলমুক্ত করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা লিজ দিলে-সরকার পেত রাজস্ব; জনগণ পেত বৈধতা।