নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রত্যেককে ১ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযানটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর ২০২০) দুপুরে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ এর ৪ ধারার অপরাধে ১৫ ধারার ১০ জনকে ১ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিপুরে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন কর আসছিলেন প্রভাবশালীরা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে পদ্মা নদী থেকে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বিশাল পাইপ দিয়ে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী মহল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমিসহ মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীনসহ বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে ভাঙনের মুখে পড়তে পারে এমনটি ধারনা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘুরে গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবেদন গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করতে থাকে। এমতাবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে দশজনকে একমাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে স্থানীয়রা বলছে যতই অভিযান করুক আর যতই কারাদণ্ড প্রদান করুক না কেন যদি দুদিন বাদে আবারো বালু উত্তোলন শুরু হবে। প্রভাবশালীরা রাতকে দিন বানাতে পারে। কারণ অতীতে অনেক জেল জরিমানা হয়েছে কিন্তু পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় না।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১০ জন অপরাধীর প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী রক্ষা বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা তৈরি, পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয় ও সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।