বয়সের ভারে ন্যুব্জ জবেদা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে-শোকে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তিনি। বয়স হয়েছে ৮০ বছর। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তাঁর জন্য কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।
জবেদা বেগমের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১০ উজান গ্রাম ইউনিয়নের২ নং ওয়ার্ড উজান গ্রামে
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন¤৬২, আর পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী জবেদার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও এত দিনেও কেউ তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জবেদা বেগম স্বামী ইউনুস মিয়া মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। সহায়-সম্পদ বলতে একখণ্ড বাড়ি করার কোন জায়গা নেই। সংসারজীবনে দুই মেয়ে কোন পুত্র সন্তান নেই জবেদার। মেয়ে দুইটা বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তিনি ভুমিহীন এক নাত্নীর খুপটি ঘরে বসবাস করছে।
জবেদা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টত আছি। অসুস্থ হলে ঠিকমতো ওষুধ কিনে খ্যাতে পারি না। একটু খ্যায়ে-পড়ে চলার জন্য ম্যালা দিন ধরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত্তবার গেছি, হিসাব নাই। ব্যাবাক খালি কথা দিছে, কেউ কথা থুইনি (রাখেনি)। আর কত বয়স হলে হামাক কার্ড দিবে?’
তিনি আরো বলেন, নাতীর উপার্জনের টাকায় ধ্যারদেনা করে খুব কষ্টে চলতেছে তার উপর আমার টানা এটা খুবই কষ্টের ।