এনামুল হক ইমন : কুমারখালী প্রতিনিধি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ২য় বর্ষপূর্তির দিনে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আনন্দ র্যালি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমারখালী উপজেলা শাখা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় র্যালিটি কুমারখালী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদর্শন করে কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন বাজারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বরে এসে শেষ হয়।
কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক জীবন হোসেন সোহেল র্যালিতে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শোভাযাত্রায় কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান সোহাগ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওয়াশিম আকরাম সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামাতের ধ্বংসযজ্ঞ, নৈরাজ্য-সহিংসতা। তারা দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, বিশেষ করে নৈরাজ্য-নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ, নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা, সাম্প্রদায়িকতা সহ নানামুখী ষড়যন্ত্র। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি-জামাতকে বর্জন করে দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে এদিন গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তৃতীয়বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জীবন হোসেন সোহেল বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ যখন বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত অভিষ্ঠে এগিয়ে চলেছে, তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলে, ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।’