কুষ্টিয়ার জন্য আমার অনেক কিছু করার স্বপ্ন ছিল
———–মোঃ আসলাম হোসেন
কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও কুষ্টিয়ার বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন বলেছেন, কুষ্টিয়াকে আমার নিজের জেলা মনেকরি। আপনাদের ভালবাসায় আমি কুষ্টিয়াকে অত্যন্ত আপন করে নিয়েছি। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার জন্য আমার অনেক কিছু করার স্বপ্ন ছিল। কিছু বাস্তবায়ন করেছি কিন্তু সময়ের অভাবে অনেক কিছুই করে যেতে পারলাম না। তবে যেখানেই থাকিনা কেন, আমি আমার প্রিয় কুষ্টিয়া এবং কুষ্টিয়ার মানুষকে সবসময় মনে রাখবো। তিনি বলেন, কুষ্টিয়াবাসী সৌভাগ্যবান যে, কুষ্টিয়াতে শেখ কামাল স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটি হবে দেশের মধ্যে একটি অত্যাধুনিকমানের স্টেডিয়াম। তাই আপনাদের প্রতি আহবান রাখবো অবশ্যই নির্মাণ কাজের গুণগতমান আপনারা বুঝে নিবেন। তিনি বলেন, করোনার কারনে এখনো দেশের অনেক ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। কিন্তু কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা সম্পন্নরূপে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে পালকি রেস্টুরেন্টে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন এসব কথা বলেন।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেন, বিদায়ী জেলা প্রশাসক একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ ছিলেন। তিনি জেলার যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত একক ভাবে নিতেন না, সম্মলিত ভাবে নিতেন। তিনি বলেন, করোনা কর্মকৌশল তৈরী করে করোনাকালীন সময়ে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক হিসেবে কুষ্টিয়ার উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন কুষ্টিয়াবাসী তা সারাজীবন মনে রাখবে।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী জেলা প্রশাসকের পত্নী জাকিয়া সুলতানা। সভায় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফুন নাহার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি জহুরুল হক চৌধুরী রনজু ও মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এবং নির্বাহী সদস্য কাইয়ুম নাজার। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক খন্দঃ সাদাত উল আনাম পলাম।