কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের কসবা আড়ত মহালকে কেন্দ্র করে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আড়তদার। দুগ্রুপের সংঘাতের ফলশ্রুতিতে আড়ত মহালের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী আশরাফ আলী জানান গত অর্থবছরে ২৪ লাখ টাকায় তিনি শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়ত মহাল সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে গণ্য হয়ে পরিচালনা করে আসছেন। এবং চলতি অর্থবছরে ভ্যাট আইটি সহ ৮৪ লাখ টাকায় একই আড়ত মহাল আবারও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু শিলাইদহ ইউনিয়নের মোঃ আফজাল হোসেন,মোঃ মুক্তার হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন আড়ত মহালে বালি আনলোড ও বিক্রি করায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তিনি আরো বলেন এ বিষয়কে কেন্দ্র করে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘাত এমনকি প্রাণ নাশের আশংকা করছেন। যেকারণে কুমারখালী থানা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া বরাবর দরখাস্ত দিয়ে অবগত করেছেন তিনি।
অপরদিকে আফজাল হোসেন জানান, গত অর্থবছরে আড়ত মহাল দরপত্রের মাধ্যমে নিয়ে আশরাফের সাথে তারা কয়েকজন অংশীদারীত্বে ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু গত অর্থবছরের আড়ত মহালের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই আশরাফ কয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দিয়ে টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন চলতি অর্থবছরে আশরাফ তাদেরকে বাদ দিয়ে বাইরের লোকদের সাথে নিয়ে ৮৪ লাখ টাকায় আড়ত মহাল ডেকে নিয়েছে নিজ নামে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশংকায় তিনিও থানায় দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, আড়ত মহাল নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুগ্রুপ পাল্টাপাল্টি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। বিষয়টি উচ্চ মহলে জানানো হয়েছে কোনরূপ সংঘাতের আশংকা দেখা দিলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান জানান বিষয়টি আমি শুনেছি। বৈশাখ মাস পর্যন্ত এখনো বিগত অর্থবছরের আড়ত মহালের মেয়াদ রয়েছে। তবে অপ্রিতিকর কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।