কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্ম তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হবার হুমকি ও পাকা সড়ক ধ্বংস, ফসলী জমি নষ্ট, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি প্রতিরোধ এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টকারী ডাম্প ট্রাকের যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অাজ শুক্রবার ডাম্প ট্রাক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাহিরচর ১২ মাইল টিকটিকি পাড়া এলাকাবাসী। নারী-পুরুষ শিশু, যুবা, বৃদ্ধ সকল ভুক্তভোগী জনতা একযোগে তাদের বাড়ির সামনে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার উপরে এসে বিক্ষোভ দেখায়। দুপুর ০২.০০ টায় ভেড়ামারার স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে এলাকাবাসী তাদের অবর্ণনীয় ও অসহনীয় দূর্দশার চিত্র তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে ডাম্প ট্রাকের কারনে সৃষ্ট জনজীবনে এর বিরুপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলী জমি থেকে যন্ত্রের সাহায্যে দেদারসে বেঅাইনী মাটি উত্তোলন করে শত শত একর কৃষিজ জমিকে ডোবা নালায় পরিবর্তিত অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হয়। এসব মাটি গ্রামীন জনপদের রাস্তার উপর দিয়ে ডাম্প ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় বাণিজ্য বর্তমানে ধনিক শ্রেণীর রমরমা ব্যবসার রুপ পরিগ্রহ করেছে। ডাম্প ট্রাক এখন ভেড়ামারাবাসীর দুঃখের প্রধান কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সচেতন এলাকাবাসী জানান, ডাম্প ট্রাক এর কারনে তাদের ফসলহানী থেকে শুরু করে রাতের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে। টিকটিকি পাড়া অাজ বসবাসের অযোগ্য এক গ্রামে পরিণত হয়েছে। রোগ শোক বৃদ্ধি পেয়েছে। ধুলায় রান্না করা ভাত ও তরকারী কিচকিচ করছে। অমানবিক দুঃসহ পরিণাম ভোগ করতে হয় নীরিহ এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসীর অাশংকা অাগামী বর্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলে নদীগর্ভে বিলীন হবে গ্রামটিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এখনই ফসলী জমি থেকে যত্রতত্র বেঅাইনীভাবে মাটি কেটে ডাম্প ট্রাকে করে উহা পরিবহন বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন তারা। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন রকমের নির্যাতন, দমন, পীড়ন ও মিথ্যা মামলার খড়গ নেমে অাসে তাদের উপর। ডাম্প ট্রাক ব্যবসায় সাথে জড়িতরা বেশ ক্ষমতা ও প্রভাবশালী বলেও জানান নীরিহ ও ক্ষতির সম্মুখীন এলাকাবাসী। তাই সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব হবেনা।