কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন,সমাজে কোন অপরাধ দানা বাঁধার আগেই তাকে সমুলে নির্মুল করে দিতে হবে।এ জন্য পুলিশকে এলাকার জনগনের সাথে মিলে এলাকার সকল রকম সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে ওপেন হাউজ ডে,কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষের মাঝে নির্ভেজাল পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে চাই।এখন আর কাউকে পুলিশি সেবা পেতে আর বিড়ম্বনার শিকার হতে হবেনা।বিট অফিসারের মাধ্যমে বিট কার্যালয় থেকেই পুলিশি সেবা পাওয়া যাবে।
বুধবার (১০মার্চ ) বেলা সাড়ে ১০ টায় কুষ্টিয়ার ইবি থানায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন,একটি সমাজের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।জনগনের নিরাপত্তা দিয়ে জনতার পুলিশ হতে কাজ করছে পুলিশ।আমরা এখন মুজিব বর্ষে অবস্থান করছি।মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার।আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।যার জন্ম না হলে আমরা এ স্বাধীন সার্বভৌম মার্তৃভূমি পেতামনা।তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এ সোনার বাংলা।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। সুতরাং আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের পুলিশ হয়ে সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেব।করোনা মহামারিকালে সমগ্র বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছে।এমন সময়েও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নের্তৃত্বে আমরা অর্থনৈতিক ভাবেও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছি।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন,থানায় জিডি,অভিযোগ,মামলা বা চার্জশীট পেতে কোন টাকা লাগেনা। যদি কোন পুলিশ আপনাদের কাছে টাকা দাবী করে তাহলে আপনারা আমাকে জানাবেন।তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।সমাজের অপরাধী তৈরী হওয়ার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মাদক। একটি পরিবার তথা জাতিকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।আমাদের কোন পুলিশ সদস্যও যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবেনা।অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।তাই আসুন পুলিশ ও জনতা মিলে একটি শান্তিপূর্ণ অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়ে তুলি।