নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ায় দুই সন্তানের জননী কে দুই জন মিলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাদাবি। চাঁদার টাকা আনতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক দুই ধর্ষক। অতঃপর ধর্ষকদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা।
ধর্ষিতা ওই নারী জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া একটি কোচিং সেন্টারে তার বড় ছেলেকে নিয়ে যায়। সাথে ৪ বছরের ছোট শিশুও ছিল। কোচিং সেন্টারের আরেক ছাত্রের মা আমাকে বলেন, চলেন আমার বোনের বাড়িতে যায়। আমি সরল বিশ্বাসে তার সাথে যায়। ওই ভাবী আমাকে কুষ্টিয়া এন.এস. রোর্ডের একতারা মোড়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি রুমে বসে থাকা অবস্থায় ওই ভাবীর মোবাইলে একটি কল আসে। ভাবী আমাকে বসিয়ে বাইরে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। সেই রুমে আরেকটি দরজা ছিল সঙ্গে সঙ্গে সেই রুম থেকে দুইটি ছেলে বেড়িয়ে আসে। তারা আমার ছোট ছেলেকে জিম্মি করে দুই জন মিলে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা। তারা আমাকে বলে তুই ৫০ হাজার টাকা দিবি না হলে ভিডিও তোর স্বামীর কাছে দিয়ে দেব। আমি হাত-পা ধরলে তারা ২০ হাজার টাকা দিলে কাউকে জানাবে না বলে জানান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই ধর্ষকরা আমাকে ফোন দিয়ে যায়। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের কাছে যায়। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে এসআই সাহেব আলী ও এএসআই আসাদের নেতৃত্বে একটি টিম রিক্সা চালক সেজে আসামিদের ধরতে সমর্থ হয়।
এদিকে এই আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রক্তিম উদ্দিন কোয়েল এর নেতৃত্বে কিছু যুবকের বাঁধার সম্মুখীন হয়। একপর্যায়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির উপস্থিত হয়ে আসামিদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।
ওই দুই ধর্ষক ও চাঁদাবাজ হলেন কুষ্টিয়া শহরের নারিকেল তলা এলাকার আঃ করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম সোহাগ (২৪), ও আড়ুয়াপাড়া এলাকার শফিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতার করেছি। তাদের খুব শীঘ্রই আদালতে চালান দেওয়া হবে।