কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মৃত তাহাজ উদ্দিন খোকার মেয়ে সালেহা খাতুন তার স্বামী হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় সালেহা খাতুনকে হত্যার হুমকি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এখন বিচারের আশায় সালেহা খাতুন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সালেহা খাতুতকে হুমকী দেয়ায় তিনি গত ০৩/০৪/২১ ইং তারিখে স্বামী ১/ হাবিবুর রহমান ২/ হাজেরা বেগম ৩/নাজেরা খাতুনের বিরুদ্ধে ইবি থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ১০৮) করেছেন।
সরেজমিন ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১০/০৬/২০০৭ সালে সালেহা খাতুনের সাথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার শান্তিডাঙ্গা গ্রামের মৃত সাদ আলী মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। আমাকে বিবাহ করার কিছুদিন পর হইতে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার সহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আসিতেছে। আমি আশা এনজিওতে চাকরি করি আমার বেতনের টাকা নিয়ে জমি ক্রয় করে একতলা বিল্ডিং তৈরি করিয়াছে উক্ত বাড়ির আত্মিক আমার নামেও আছে তার পরেও আমাকে বাড়ি থেকে বের করিয়া দিয়েছে। আমার উক্ত স্বামী হাবিবুর রহমান আশা এনজিওতে ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি করেন। আমি জানতে পারি সে গত ৪ বছর আগে আর একটি বিবাহ করেন। আমার স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহর কথা জানতে চাইলে আমাকে খুন জখম সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে গত ইং ০২/০৪/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় আমাদের দাম্পত্য বিষয়াদি লইয়া ঝগড়া করতে শুরু করে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে বিবাদী গান আমাকে খুন-জখম সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করিতে থাকে এবং ১ নং বিবাদী হাসুয়া নিয়ে আমাকে খুন-জখম সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করিয়া আমাকে বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। বর্তমানে আমি আমার পিতার বাড়িতে আছি আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি ঠিকমত কাজ করতে পারছিনা আমাকে যে কোন সময় বিবাদী গন আমার জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এবিষয়ে হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেইনি, আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি ঠিক আমি তাকে হুমকি-ধামকি প্রদান করি নাই আমার প্রথম স্ত্রী ঠিক বলে নাই।