গত৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা বাজারে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।সরজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,বেলা ১১টার দিকে আমলা বাজারে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় কাজ করছিলেন মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামারুল আরেফিন, এ সময় স্থানীয় অনেকেই তার সঙ্গে ছিলেন।
এ সুযোগে আমলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপি’ র সহ-সভাপতি আকমল এর পুত্র সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী লিখন আমলা বাজারে মাস্ক না থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসী কায়দায় সাধারণ জনগণের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বেধরক পেটাতে থাকে।উল্লেখ্য এই লিখন একজন বিএনপি পরিবারের সন্তান, তাহার চাচা লিয়াকত মিরপুর উপজেলা বিএনপির থানা সহ-সভাপতি এবং চাচাত ভাই সুমন ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, এবং এলাকাবাসী সুত্রে আরো জানা যায়, লিখন একজন চিন্হিত মাদক সেবী।এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি আওয়ামী লীগের জনকল্যাণকর কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি ক্যাডাররা মাঠে নেমেছে? এই ঘটনায় সবচেয়ে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার একজন আওয়ামী লীগ নেতার ড্রাইভার দৌলতপুর উপজেলার মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ ইলিয়াস হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার পথে আমার মুখের মাস্ক বাতাসে উড়ে যায়,এ অবস্থায় আমলাবাজারে এসে পৌঁছালে,লিখন আমাকে হাত দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে, একপর্যায়ে সে লাঠি দিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে,আমার এ অবস্থা দেখে স্থানীয় জনসাধারণ আমাকে লিখনের হাত থেকে বাঁচায়,তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন,অন্যদিকে আমলা বাজারের সাধারণ ব্যাবসায়ী ও জনগন অভিযোগ করে বলেন, ওই সময় সন্ত্রাসী লিখন স্থানীয় দোকানদার সহ রাস্তায় চলাচলরত সকল পথচারীদের মারধর করেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের ভিতর ক্ষোভ বিরাজ করছিলো,তারা আরও বলেন, করোনার প্রকোপ থেকে দেশ বাসী কে বাচাতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই, সচেতনতা বাড়াতে মানুষকে বোঝাতে হবে,প্রয়োজনে কারো মাস্ক না থাকলে মাস্ক দিয়ে তাকে সহযোগিতা করতে হবে।কিন্তু এসব কাজ না করে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিরিহ মানুষের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে আহত করবে,এটা কোন ধরনের জনসেবা।
এলাকাবাসী এই মাদক সেবী বিএনপি ক্যাডার লিখনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করে বলেন,দ্রুত একে আইনের আওতায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে করে কোনো বিএনপির ক্যাডার জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি করতে না পারে।
এঘটনার পর খবর পেয়ে মিরপুর থানার এস,আই সাধনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন,এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শোনেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস,আই, সাধন বলেন,ঘটনা দুঃখ জনক,লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানা যায়।