কুষ্টিয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক নিশ্চিত করা ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির দু ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে আজ পহেলা জুন এই সিধান্ত হয়। সীমান্ত জেলা কুষ্টিয়ায় ঈদের পর থেকে হঠাৎ করেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনার বিস্তার কমাতে কুষ্টিয়ায় রাস্তঘাট, দোকানপাট, বিপণিবিতান ও মার্কেটগুলোয় নেই সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পরছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এদিকে স্বস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কুষ্টিয়াসহ দেশের সীমান্তবর্তী ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণার সুপারিশ করেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানায়,লকডাউন ঘোষণার ব্যাপারে আজ সকাল ১১ টার জুমমিটিং এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে লকডাউন দেয়া হয়নি। মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক নিশ্চিত করা ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির দু ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষ এ সিধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ৪ দিনে কুষ্টিয়ায় শতাধিক করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ও মৃত বরন করেন ২ জন।
কুষ্টিয়ার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন এই দুঃসময়ে আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে, একযোগে কাজ করি ভারত থেকে শত শত মানুষ প্রবেশ করছেন জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। তাদের কোনো করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না অথচ তারা সীমান্ত এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।তিনি আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সির্ভিল সার্জন ও প্রতিনিধিদের
মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কুষ্টিয়ায় লকডাউন এ মুহুর্ত দেওয়া দরকার নেই।যার কারনে কুষ্টিয়ায় লকডাউন হচ্ছে না।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন সির্ভিল সার্জন ও প্রতিনিধিদের বৈঠক করে লকডাউনের ব্যপারে স্থানীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।যার কারনে আজ সকাল ১১ টার জুমমিটিং এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে লকডাউন না দেওয়ার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।