বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে গ্রেফতার করেছিলো তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।সারাদেশে জীবনকে বাজি রেখে যে সকল মুজিব সৈনিক রাজপথে প্রতিরোধ গড়েতুলেছিলেন তাদের স্যালুট।তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কুষ্টিয়ায় জেলার সুযোগ্য ও সাহসি জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল রহমান সুমন ভাই সাহসি পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে গ্রেফতারের অল্প কিছুক্ষন সময়ের মধ্যে দেশের প্রথম কুষ্টিয়াতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হয়।
১/১১ জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে সাইফুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে এনামুল বারী সুমন সহ মামুন,মঈন,বখতিয়ার,মিদুল,ফয়সাল চৌধুরী,সোহেল,রুবেল, লেলিন সহ বেশ কিছু অকুতোভয় মুজিব সৈনিক জীবনের মায়া ত্যাগ করে জরুরী বিধিমালা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার রাজপথে মিছিলে অংশ গ্রহন করে।যার কারনে অনেকের নামে জরুরী আইনে মামলা হয়েছিলো এবং অনেকই গ্রেফতার হয়েছিলো।দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সংগ্রামে ধারাবাহিকতায় প্রিয় নেত্রী মুক্ত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০০৮’র ১১ জুন দেশের ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৬ জুলাই ভোর রাতেই যৌথবাহিনী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘিরে ফেলে। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে নিম্ন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার পর পরই শেখ হাসিনাকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়।গ্রেপ্তারের আগে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়। ওই বিশেষ কারাগারের পাশেই সংসদ ভবন চত্বরে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে তার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়। এদিকে কারাবন্দি অবস্থায় শেখ হাসিনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারের মধ্যেই তার চোখ, কানসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলতে থাকে।
গ্রেপ্তার হওয়ার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার মুক্তি এবং নির্বাচনের দাবিতে সংগঠিত হতে থাকে। সরকার রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সংগঠিত, প্রতিবাদ ও ধীরে ধীরে আন্দোলন গড়ে তোলে। দলের সভাপতির অনুপস্থিতি ও প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।
আর মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দক্ষতার সহিত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করনে। আবার কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেও বার বার দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তার আইনজীবী ও চিকিৎসকরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের মাধ্যমে তিনি দলকে এ ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নেতাদের কাছে বার্তা পাঠান।বন্দি সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শ নিয়েই দল পরিচালনা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় কারা অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি অবস্থার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি ওঠে। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় প্রিয় নেত্রীকে ২০০৮ সালের ১১ জুন ৮ সপ্তাহের জামিনে মুক্তি হয়েছিলেন। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে সন্মান পেয়েছে।