যশোরের শার্শায় এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার পাষণ্ড স্বামী
মোঃ সোহাগ হোসেন,শার্শা যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের হাজী পাড়ায় শনিবার ভোর রাতে লাবনী (২১) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে,গত পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুরের মশ্মিম নগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম (শফি)র ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে। তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। প্রথমে তাদের সংসার ভালো চললেও লাবনীর স্বামী পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে।এ নিয়ে প্রতি রাতে ইমামুল তার স্ত্রীকে মারধর করতো। গত কাল রাতে ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পায় লাবনী। স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে মারধর শুরুকরে ইমামুল। এসময ইমামুলের বাবা শফিও তার সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে লাবনী মারা যায়।
পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শশুর। তারা এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।সকালে পুলিশ আসার আগে ইমামুল ও তার পরিবারের সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত লাবনীর ভাই সোহেল জানান, ইমামুল প্রায়ই তার বোনকে মারধোর করতো। তাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনতে বলতো। লাবনী টাকা এনে তার স্বামীর হাতে দিলে সে মদ গাঁজা ও পরকীয়ার পেছনে সব টাকা খরচ করে ফেলতো। গতকাল রাতেও পরকিয়া নিয়ে তার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সে অভিযোগ করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খাঁন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন লাশের গলায় দাগ রয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।