কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ফারাকপুর ২ নং ওয়ার্ডে চোর সন্দেহে
গৃহকর্মীকে বেদম মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতিতা গৃহকর্মী নাছিমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার দুপুরে মফিজুল ও তার ম্যানেজার ফজলু আমাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
আমি তার বাসায় পার্টটাইম কাজ করি। এরপর আমাকে ঘরে আটকে রেখে বলে, তুই যে ৫৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছিস সেটা তাড়াতাড়ি বের কর, আমি তাদের বলি দীর্ঘদিন ধরে আপনার বাসায় কাজ করি আমি আপনাদের টাকা চুরি করবো কেন, আমি কোন টাকা পয়সা চুরি করি নাই।
একথা শুনে (১) মফিজুল পিতা মৃত মকবুল (২) পারুল স্বামী মফিজুল ও (৩) ফজলু পিতা অঙ্গাত সর্বসাং ফারাকপুর ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া বাশেঁর লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধরক মারপিট করে।
আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাসা থেকে বের করে দেয় এবং মারপিটের ঘটনা কাউকে বললে আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। আমি ভয়ে কাউকে বলতে পারিনি।
ঘটনার পরের দিন আঘাতের স্থান গুলোতে ব্যাথা ও অসহ্য যন্ত্রনায় মাথা ঘুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমি আমার স্বজনদের সবকিছু খুলে বলি। গৃহকর্মী নাছিমার ২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রমান মিলে।
এ বিষয়ে মফিজুলের সাথে মোবাইল ফোনে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি আগামীকাল কথা বলবেন বলে এই প্রতিবেদক জানান।
এদিকে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অর্থশালী ও প্রভাবশালী একটি মহল ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ভিক্টিমকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন নাছিমা খাতুন।
এব্যাপারে উপযুক্ত বিচারের আশায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যারপর নির্যাতিতা গৃহকর্মী নাছিমা খাতুন নিজে উপস্থিত হয়ে ভেড়ামারা থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য : গৃহকর্মী নাছিমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।।