দৌলতপুরে কল্যাণপুর দরবার শরীফে
পুলিশের সামনে অগ্নিসংযোগ ॥ সন্ত্রাসী জাকির চোর হাতে নাতে আটক
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুর দরবার শরীফে
দিনদুপুরে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘদিন ধরে
দরবার শরীফ দখল করে রিসোর্ট বানানোর চক্রান্ত করে আসছে সন্ত্রাসী টোকেন
চৌধুরী। আল্লারদর্গা বাজারে প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার পর
দেশত্যাগকারী টোকেন চৌধুরী এবার মরিয়া হয়ে উঠেছে কল্যাণপুর দরবার শরীফ
দখল নিয়ে রিসোর্ট বানানোর জন্য। যে কারণে সন্ত্রাসী জাকির চোর, রিজু,
রেজা, বজু সহ সংঘবদ্ধ চক্রটি কল্যাণপুর দরবার শরীফে নানাভাবে হামলার
পরিকল্পনা করে। গতকাল দুপুরে সন্ত্রাসী জাকির চোরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদল
দরবার শরীফে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। স্থানীয় জনগন
অগ্নিসংযোগের সময় হাতে নাতে জাকির চোরকে আটক করে পুলিশের হাতে দেয়।
পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) ইয়াসির
আরাফাত, দৌলতপুর থানার ওসি সহ ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করে। পুলিশের উপর
সন্ত্রাসী দল হামলা করে। বিক্ষুব্ধ জনগন হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
সেলিম চৌধুরী ও তার ভাই টোকেন চৌধুরীকে দায়ি করে বলেন, কল্যানপুর দরবার
শরীফ এই এলাকার জঙ্গীবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল একটি প্রতিষ্ঠান।
ব্যক্তিগতভাবে তাছের পীর প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী
তার পুরো পরিবার। কল্যানপুর দরবার শরীফ এলাকায় মানবিক ও
জনকল্যানমুখী বিভিন্ন কর্মকান্ড করে থাকে। এরমধ্যে ডায়াবেটিস সেন্টার,
সাধারণ মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা করে থাকে। এই দরবার শরীফের উপর
শকুনের চোখ পড়েছে। তারা এটি দখলে নিয়ে রিসোর্ট সেন্টার ও বাইজিখানা তৈরী
করতে চায়। স্থানীয় জনগন এবং দরবার শরীফের সদস্যরা এর তীব্র প্রতিবাদ করায়
তাদের উপর বারবার হামলা করে। গতকাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। যা দরবার
শরীফের সিসি ফুটেজে প্রমান রয়েছে। অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা দেখে এলাকায় আতংক
ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, এ ঘটনায়
জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অপরাধী
ছাড় পাবে না।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবীদ বলেন, অগ্নিকান্ডে ও লুটপাটের সাথে
জড়িতদের একজন গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কেউ আইনের
হাত থেকে রেহায় পাবে না। আমরা এলাকাবাসীর সহায়তা চাই। তারা যেন এই
সন্ত্রাসী চক্রকে গ্রেফতার করতে আমাদের সহায়তা করেন।