সন্ত্রাসী টোকেন চৌধুরীর গ্রেফতার দাবি
কল্যানপুর দরবার শরীফে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর
লুটপাটের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর দরবার শরীফের জমি দখলে নিয়ে রিসোর্ট বানাতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে দৌলতপুরের এক সময়ের প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার দায়ে দেশত্যাগ কারী সন্ত্রাসী টোকেন চৌধুরী ও তার ভাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী। জমি দখল নিতে সন্ত্রাসী টোকেন ও তার ভাই কল্যানপুর চরদিয়া পাক দরবার শরীফে ইতি পূর্বে কয়েকবার তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে জাকেররানদের উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছে মানববন্ধনের বক্তরা। গত শক্রবার দুপুরে টোকেন চৌধুরী তার সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে দরবারের জাকেরদের উপর হামলা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, দরবারের খাদ্যগুদামে রাখা চাল, ডাল ,মসলাসহ দান বাক্স্রে রাখা নগদ টাকা লুটপাট করেছে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে জাকেরদের রক্ষা করতে পারলেও লুটপাট ঠেকাতে পারেনি। সন্ত্রাসী টোকেনের নেতৃত্বে হামলাকারী জাকির চোর , রাজা, রেজু, বজুসহ অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন মিলে দরবারের চারদিকে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। উল্লেখ্য যে গত ২৬ তারিখ টোকেন চৌধুরী উপস্থিত থেকে দরবার শরীফের টার্মিনাল গেটের সামনে কুষ্টিয়া থেকে আগত ২জন জাকেরকে মারপিট করলে এব্যাপারে দৌলতপুর থানায় তাদের নামে অভিযোগ দিলে, টোকেন চৌধুরী মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় আরেকটি অভিযোগ দেয়। দৌলতপুর থানায় সন্ত্রাসী জাকির, রাজা, বজু, মাসুদসহ ১০/১৫ জনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে দরবারে হামলা ও ভাংচুর করার , এছাড়া জাকিরসহ তার সহযোগীদের নামে দৌলতপুর থানা মাদক ও চুরি ছিনতাইএর মামলাও চলমান রয়েছে। দরবারের প্রতিটি হামলা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড থাকায় তারা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেছে এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও তাদের বিরুদ্ধে টোকেন এর ভাই এর প্রভাবে বার বার পার পেয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। দৌলতপুরের সকল অনৈতিক অপকর্মের হোতা টোকেন চৌধুরী ইতি পূর্বে তার ভাই এর প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই সম্পদের গরমে সে কোন কিছুতেই তোয়াক্কা করে না।। রাজনৈতিক দলের পভাব খাটিয়ে টোকেন চৌধুরী এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ ভুমিদখল ও অবৈধ বালিমহল নিয়ন্ত্রন করে তার সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহীনি দিয়ে। সন্ত্রাসী টোকেন চৌধুরী দরবার শরীফকে উচ্ছেদ করতে আবারো মড়িয়া হয়ে পড়েছে, এবার তার পরিকল্পনা দরবার শরীফ এর জায়গা দখল করে সেখানে একটি রিসোর্ট করার। টোকেন এর ক্যাডার বাহীনি প্রতিদিন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে নিরিহ মানুষকে মারধর ও অত্যাচার করলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবীদ হাসান দরবার শরীফ সহ আশপাশের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। দরবারে অগিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুর এর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে দৌলতপুর থানায়-(১৫) এ পর্যন্ত ৫ জন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। ৯জানুয়ারী কয়েক হাজার দরবার শরীফের জাকের ও ভক্তরা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে এবং টোকেন চৌধুরী ও তার ভাইকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার কে স্বারক লিপি প্রদান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। দৌলতপুরের জাকের ভক্তগন টোকেন বাহীনির হাত থেকে বাঁচতে এবং দরবার শরীফকে রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি বরাবর স্বারকলিপির অনুলিপি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।